পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১২

এ সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বর্তমান সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে; এখন অপেক্ষা ভারতের অভ্যন্তরীন সিদ্ধান্তের। আর তিস্তা চুক্তি নিয়ে হতাশ না হতে অনুরোধ করেছেন ভারতের অরুনাচল ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই দুই মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ভৌগলিক কারণেই ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’-এর সঙ্গে বাংলাদেশের নিবিড় সম্পর্ক। অথচ রাজনৈতিক চড়াই-উৎড়াই আর সম্পর্কের উত্থান-পতন বহুকাল আলাদা করে রেখেছিলো একই রকম সংস্কৃতির দুই অঞ্চলকে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনির সঙ্গে দেখা করে সেই দূরত্ব ঘোচানোর পথে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান অরুনাচল ও মেঘালয়ের দুই মুখ্যমন্ত্রী। ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনীতির দৃষ্টির আড়ালে থাকা এই অবহেলিত অঞ্চলটি এখন চাইছে বাংলাদেশের সহযোগিতা। চাইছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ। বাংলাদেশও তাদের পাশে দাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অরুনাচলের মুখ্যমন্ত্রী নাবাম তুকি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে আমাদের রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। বিশেষ করে আমাদের রাজ্যে ৫৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা আছে। সেখানে বাংলাদেশের বিনিয়োগ করতে পারে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশে বিদুৎ স্বল্পতা আছে। আর সে কারণেই বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে অথবা বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য বিনিয়োগে আগ্রহী।
অন্যদিকে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা বাংলাদেশকে তাদের রাজ্যে পর্যটনখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন; বাংলাদেশ চাইলে এই খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। কেননা আমাদের রাজ্যে পর্যটন একটি সম্ভাবনাময় খাত। এক্ষেত্রে ডাক্তার দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ বিবেচনা করে দেখছে। একটি কারিগরি দল এরই মধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছে। তাদের দেওয়া রিকমেন্ডেশনের ভিত্তিতেই ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে।
তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান, দুই মুখ্যমন্ত্রী। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তি হবেই, শুধু সময়ের অপেক্ষা।
অরুনাচল ও মেঘালয়ের দুই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তির সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি-অবনতির কোন সম্পর্ক নেই। তাদের মতে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের। সেই সম্পর্ক দুই দেশের, পড়শির মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই এখন মূল লক্ষ।
তিস্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাক্তার দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এখন শুধু ওদের (ভারত) অভ্যন্তরীন সমঝোতা প্রয়োজন। যেখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই তিস্তা চুক্তি হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি আশা করে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন হবে।
শুধু বিদ্যুৎ খাত নয় বরং অরুনাচল ও মেঘালয়ের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রশ্নে বাংলাদেশ তাদের আগ্রহ দেখিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন