পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১২

রপ্তানি বেড়েছে ইউরোপে

শ্রমিকের অধিকার সংরক্ষণ ও পরিবেশসম্মত পণ্য উৎপাদনে ব্যর্থ হলে ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানী বাজার ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা। প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, ইউরোপের বাজারে গত এক বছরে বাংলাদেশের রপ্তানী বেড়েছে ২৮ শতাংশ। তবে এই বাজার আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সম্পর্কের চার দশক উৎযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত আলোচনার বিষয়; দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে ইইউ রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা বলেন, রপ্তানীকারক হিসেবে বাংলাদেশ সম্ভবনাময়। তিনি জানান, ২০১১ সালের পহেলা জানুয়ারি ‘রুলস অফ অরিজিন’ শিথিল করার পর এক বছরে রপ্তানীর পরিমান বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৯শ মিলিয়ন ইউরো। উইরোপকে বাংলাদেশের সবচে বড় রপ্তানী বাজার উল্লেখ করে তিনি জানান; ২০১০ সালের হিসেব অনুযায়ি বাংলাদেশের মোট রপ্তানীর ৫১ শতাংশ গেছে উইরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, এই পরিমান বাড়াতে উদ্দোগি হতে হবে ব্যবসায়ীদেরই।
ঢাকায় ইউরোপিয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা বলেন; ইউরোপের ২৭টি দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে বেশ। যা কিনা ২০১০ সালের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। তিনি জানান, ইউরোপিয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
পণ্যের পরিবেশ-মান বজায় রাখার পাশাপাশি শ্রমিকের অধিকার নিয়ে ইউরোপের ক্রেতারা নজরদারি বাড়িয়েছেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
উইলিয়াম হানা বলেন; ইউরোপের ক্রেতারা খুব খেয়াল করে তারা যেখান থেকে পণ্য কিনছে সেই পণ্যের মান কেমন? বিশেষ করে ওই পণ্যের পরিবেশগত মান ঠিক আছে কি না কিংবা ওই পণ্য যারা তৈরি করে সেই শ্রমিকরা তাদের ন্যয্য হিস্যা  পাচ্ছে কি না।
রাষ্ট্রদূত জানান, ইউরোপের বাজারে বাইসাইকেল, চা, ঔষধ, সিরামিকের মতো পণ্যের বিক্রি কমেছে। বেড়েছে তৈরি পোশাক, হিমায়িত মৎস, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য আর জাহাজ রপ্তানী। তৈরি পোশাকের রপ্তানীর হিসেবে চীন এবং তুরস্কের পরই অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন