পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ৯ মে, ২০১২

কোন পথে বাংলাদেশের ক্রিকেট?

ক্রীড়া সাংবাদিকদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা আছে, তা কেউ স্বীকার করেন বা না। ইদানিং সব ক্রীড়া সাংবাদিকই ‘ক্রিকেট সাংবাদিক’ হতে চান। অবশ্য এটা ঠিক যে, ক্রীড়া সাংবাদিকদের এই বিশেষায়িত হয়ে ওঠার আগ্রহটা হঠাৎ নয়। বরং এই পাল্লা চলছে প্রায় দশক ধরেই। আরও স্পষ্ট করে বললে, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই। যখন হঠাৎই বাঙালীর প্রিয় এবং প্রধান খেলা হয়ে ওঠে ক্রিকেট। সাংবাদিকদের মধ্যে এই পাল্লা দেওয়ার ব্যপারটা নিছক ক্যারিয়ার কেন্দ্রিক, একে খারাপ চোখে দেখার সুযোগ কম। ক্রিকেট সংবাদ কাভার করলেই নিজের নামের সংবাদটা শীর্ষে থাকবে (সংবাদপত্রের ভাষায় লিড নিউজ) এটা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিলো। তাতে করে যে কোন ক্রীড়া সাংবাদিকের ক্রিকেট সাংবাদিক হতে চাওয়াটা দোষের নয়। বরং একে ইতিবাচকই বলা যায়। সত্যিই এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু দোষের হলো, ক্রিকেট সাংবাদিকদের মধ্যে এক ধরনের ‘ঠাঁট’ তৈরি হওয়া। বিষয়টা গিয়ে এমন পর্যায়ে দাড়ালো যে, ক্রিকেট সাংবাদিক না হলে আর ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে নিজের জাতই টেকানো যাচ্ছে না! আর সে কারণে নিজেদের সোর্সিং আর তরতর করে ক্রিকেট রিপোর্টার হয়ে ওঠার জন্য অনেক সময় সংবাদেও ছাড় দিতে শুরু করে ক্রিকেট সাংবাদিকরা। হতে পারে সেই ছাড় দেওয়ার মানুষিকতাটুকু নিতান্তই বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের স্বার্থেই! তবে সেক্ষেত্রে তা ব্যাখ্যার দাবী রাখে। সে অবশ্য ভিন্ন কথা। কথায় কথায় মূল কথা থেকেই দূরে সরে যাওয়াও ঠিক হচ্ছে না। ওপরের কথাগুলোকে একধরনের ক্ষোভ হিসেবে নিতে পারেন। ভাবতে পারেন একজন ব্যর্থ ক্রীড়া সাংবাদিকের আত্মসমালোচনা হিসেবেও! মূলত ওই কথাগুলো নিজেদের উদ্দেশেই বলা। 
আর হঠাৎ করে এমন আত্মসমালোচনা কারণ; বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামো এবং তা নিয়ে সাংবাদিক সমাজের নির্লিপ্ততা। নতুন ক্রিকেটার তৈরি কিংবা ক্রিকেটার বাছাই প্রক্রিয়া যাই বলুন না কেন; এর সঙ্গে যে বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামোর আকাশ-পাতাল ফারাক তা মোটামুটি অনেকেই জানেন এবং মানেনও! খুবু কাছে থেকে দেখা  এই ক্রীড়া (ক্রিকেট সাংবাদিক) সাংবাদিকদের এই তথ্যগুলো ভালো মতোই জানা। কিন্তু তারপরও গৎবাঁধা ম্যাচ রিপোর্ট, দু’চারটে চটকদার ফিচার আর পাবলিক খায় এমন সংবাদ লিখেই দায় সারেন ক্রিকেট সাংবাদিকরা। সেখানেই আপত্তি। এখনও পর্যন্ত (মনে পড়ে না) এমন একটি প্রতিবেদন পড়ার সৌভাগ্য হয়নি যা কিনা অনেক তথ্য-নির্ভর, গবেষণালব্ধ। যেখানে এমন তথ্য আছে যে; কতজন ক্রিকেটার নতুন তৈরি হয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডের লিস্টিতে কতজন নতুন ক্রিকেটারের নাম আছে, কত ক্রিকেটার বয়সভিত্তিক দলগুলোতে খেলছে, কত ক্রিকেটার ক্রিকেটবোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তৈরি হয়েছে আর কতজন এসেছেন নিজেদের আগ্রহ ও যোগ্যতায় এবং তাদের মধ্যে ঠিক কতজনের জাতীয় পর্যায়ে আসার যোগ্যতা আছে? প্রতিবেদনগুলো হতেই পারে; এটুকু শুধুই আইডিয়া মাত্র। কিন্তু তা করে দেখানোর দায় তো ক্রিকেট সাংবাদিকদেরই। কেননা কেউ স্বীকার করুন বা না করুণ দেশের ক্রিকেট অবকাঠামোতে এই ক্রিকেট সাংবাদিকরাও তো একটা বড় হিস্যা! তাছাড়া ক্রিকেটের আদ্যোপাত্ত লেখার প্রত্যয়েই তো তারা ক্রীড়া সাংবাদকি থেকে ক্রিকেট সাংবাদিক হয়েছেন! কিন্তু সেটা হচ্ছে না; কেন হচ্ছে না সে উত্তর তাদেরই ভালো জানা। তবে হচ্ছে না, এটুকু স্বীকার করতে অন্তত বাঁধা থাকা উচিত নয়। বরং এটুকু জানা থাকা প্রয়োজন, কেন হচ্ছে না! ক্রিকেট সাংবাদিকদের যোগ্যতা নেই; এটুকু মানতে খুবই আপত্তি আছে। জানামতে, এমন অনেক ক্রিকেট সাংবাদিক আছেন যাদের শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয় বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও খ্যাতি আছে। তারাই বা লিখছেন না কেন? কোন বাঁধা? সেই বাঁধা কিসের? নিন্দুকেরা বলেন, বাধা হলো সম্পর্কের! সোর্সের মন রাখতে গিয়ে ক্রিকেটবোর্ড, বোর্ডকর্তা, নির্বাচকসহ ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তাদের সখ্য গড়ে উঠছে আর সেই সখ্যই বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে একটা ভালো প্রতিবেদনের; একজন ভালো প্রতিবেদকের! সে যাক, আত্ম সমালোচনায় পুরোটা শেষ করার ইচ্ছে নেই। হয়তো এরই মধ্যে মূল আলোচনাও দূরে সরে গেছে। কিন্তু তারপরও একজন ক্রিকেটভক্ত আর সাবেক ক্রীড়া প্রতিবেদক হিসেবে হিসেবে একটুকু তো আশা করা অপরাধের নয়; ক্রিকেট সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ কিংবা কেউ কেউ শুধুই সম্পর্ক ধরে রাখবেন না নিজের নামেরও সুবিচার করবেন! সে যাক, মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। তবে তার আগে আশা করছি; লেখাটাকে কেউ ব্যাক্তিগতভাবে নেবেন না। লেখাটার সব দায় লেখকের। কাউকে ছোট করা বা উদ্দেশমূলকভাবে হেয় করা এ লেখার উদ্দেশ নয়!

২.
নিতান্ত কোন অপ্রাপ্তি কিংবা ক্যারিয়ার কেন্দ্রিক কোন ক্ষোভ থেকে শুরুটা এভাবে হয়েছে, ভাববেন না, দয়া করে। বরং কথা দিচ্ছি নিজে বাংলাদেশের ক্রিকেটের একজন ভক্ত হিসেবেই লেখাটা শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট যাদের হাত ধরে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম পেয়েছিলো তাদের অনেকে এখন ক্রিকেট বোর্ডের হত্তাকত্তা। বড় মানুষ। কেউ কেউ সত্যি সত্যিই অনেক বেশি ক্ষমতাধর। এটাও প্রয়োজনের তাগিদেই হয়েছে। কিন্তু কথা হচ্ছে; তাদের উপস্থিতির পরও ক্রিকেট কী ঠিক পথে চলছে। বেশ কিছুদিন সরাসরি ক্রীড়া সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে ব্যাক্তিগতভাবে দু’চারজনের সঙ্গে সখ্য আছে। তাদের একজন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরিচয় করানোর অন্যতম নায়ক; আকরাম খান। তিনি এখন প্রধান নির্বাচক। তার সঙ্গে আছেন আরও দুই পরিচিত মুখ, প্রিয় মুখ; মিনহাজুল আবেদীন নান্নু আর হাবিবুল বাশার সুমন। তারা দু’জনও নির্বাচক। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মহারথীরা থাকার পরও ক্রিকেট ‘ঠিক পথে এগুচ্ছে’ কথাটা জোড় গলায় বলার সুযোগ নেই। কেন? ব্যাখ্যা অনেক তবে সবার আগে বলা উচিত; ক্রিকেট কাঠামো নিয়ে। ক্রীড়া সাংবাদকিতার স্বল্পতম অভিজ্ঞতা আর দু’চারটে দেশে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে সিরিজ কাভার করার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা আলোক থেকে এটুকু জানার সুযোগ হয়েছে যে; বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামো বেশ দূর্বল। যুক্তি হিসেবে দুটো বিষয়ের ওপর জোর দেওয়ার ইচ্ছে; এক. ঘরোয়া ক্রিকেট আর দুই. নতুন ক্রিকেটারের সংকট। অন্য কারণগুলোকে আলাদা করে রেখে আপাতত এই দুই যুক্তির পক্ষে নিজের যুক্তি স্থাপন করে মনের কথাগুলো বলার চেষ্টা করছি।
প্রথমত: ঘরোয়া ক্রিকেট। বাংলাদেশে এখন যে ফরমেটে ঘরোয়া ক্রিকেট হয় তা নিশ্চিত করেই তিন দশক আগের ফরমেট। স্বল্পদৈর্ঘের এই ক্রিকেট বাংলাদেশ খেলতো আতাহার, ফারুক, নান্নু আর আকরামদের আমলের শুরুর দিকে। তখন বাংলাদেশের মূল টার্গেট বা লক্ষ থাকতো বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা অর্জন। স্বল্পদৈর্ঘের ক্রিকেট তখন ছিলো, সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান সময়ে স্বল্প দৈর্ঘের ক্রিকেট হওয়া উচিত শুধুই ধারাবাহিকতা রক্ষার অংশ। অথচ বাংলাদেশের ক্রিকেট এখনও স্বল্প দৈর্ঘের ক্রিকেটই খেলে, নিয়ম করে। হয়তো সে কারণেই এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট সাফল্য হাতে গোনা; তাও আবার জিম্বাবুয়ের মতো ছোট দেশ না হলে হয়তো সেটাও দূর ভবিষ্যত হতো! বিষয়টা এমন নয় যে, শুধু এই লেখকেরই বিষয়টি সম্পর্কে বিসদ জ্ঞান। বরং ক্রিকেট কাঠামোতে যে পরিবর্তন দরকার তা ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষগুলোও বোঝেন এবং জানেন। শুধু করতে পারেন না কিংবা করেন না। ধরে নিচ্ছি তারা করতে পারেন না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে; কেন? বাধা কোথায়? প্রশ্নটির উত্তর পাওয়ার জন্য আকরাম খান কিংবা তার দুই সহকারীকে খোঁজা একেবারেই ঠিক হবে না। তারা শুধু পরামর্শই দিতে পারেন, কাজগুলো করে দেখানোর দায় বা দায়িত্ব কোনটাই তাদের নয়। দায় ক্রিকেট কর্তাদের। যদিও তারা থাকেন উচু তলায়; ধরা ছোঁয়ার বাইরে। উনারা বড় মানুষ, গাড়ি চড়া মানুষ। মাঠের ক্রিকেট তারা দেখেন ভিআইপি বক্সে বসে। আর সে কারণেই পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় কোন ক্রিকেটার তার মনের গভীরে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখে নিজেকে তৈরি করছেন কিনা; তা এই কর্তাদের জানা নেই একেবারেই। থাকবার কথাও নয়। সাংবাদিক হিসেবে এর উত্তর চাইলে ওই কর্তারা কী উত্তর দেবেন সেটাও লিখে দিতে পারি। উনারা বলবেন, তাদের জন্য তো জাতীয় ক্রিকেট আছে। সেটা এখনও চালু আছে। বিভাগে বিভাগে খেলা হয়! তাহলে প্রশ্ন, জেলায় জেলায় নয় কেন? কর্তাদের কী ধারণা, জেলার সবগুলো ভালো ছেলের ভেতর থেকে বাছাই করে বিভাগীয় টিম হয়? সহজে অনুমেয়, এতটা গোছালো যখন ক্রিকেট বোর্ডই নয়, বিভাগীয় ক্রিকেট এতটা হয় কি করে! এটুকু যুক্তির কথা, সত্যি হচ্ছে ওভাবে বাছাই হয়না বিভাগীয় দলগুলো। আর সে কারণেই ক্রিকেট বোর্ডের কোন কর্তা নিশ্চিত করে বলতে পারেন না যে, দেশের সেরা ক্রিকেটারাই খেলে জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বলতে পারবে না; বাছাই করা ক্রিকেটারগুলোই বিভাগগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু এটা নিশ্চয় স্বীকার করতে তাদের বাধা নেই যে, ওভাবে দল নির্বাচনটা কতটা জরুরী। ক্রিকেট কর্তা না হলেও ক্রিকেটের উন্নয়ন কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে এই প্রশ্নটি অবশ্য একটু ঘুড়িয়ে করতে পারেন নির্বাচকদেরও। জানতে চাইতে পারেন, একটা দেশের সেরা এগারোজনকে মাঠে নামান তারা। কিন্তু কোন বিবেচনায় সেরাদের মাঠে নামান নির্বাচকরা। শুধু এটুকুই তো, জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটে তাদের পারফরমেন্স তাদের মুগ্ধ করে। ক্লাব (শুধু ঢাকার ক্লাব পর্যায়) পর্যায়ে কারও কারও মারকুটে ব্যাটিং কিংবা দূরন্ত বোলিং তাদের নজর কাড়ে। কিন্তু অবহেলায় পরে থাকা কোন গ্রামের এক দূরন্ত বোলার আদৌ জাতীয় পর্যায়ে খেলার যোগ্য কিনা তা কী বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই তাদের? নেই নিশ্চয়ই; থাকলে তারা করতেন। অথবা এটাও তারা পরখ করে দেখেন না যে; দেশের কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে লুকিয়ে থাকা কোন এক বোলার নিয়মকানুন আরেকটু ভালো করে শিখে নিলে দেশের জন্য অনেক বড় কিছু করে দেখাতে পারে। ওই ছেলেটা আসলেই অনেক জোড়ে বল করতে পারে কি না তাও তো জানা নেই নির্বাচকদের। তারা হয়তো কর্তা নন কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের কাছে তাদের এটুকু দাবী করতেও তো শুনিনি কখনও যে তারা এমনটা করতে চান! প্রশ্নটা সেখানেই।

জেলা ক্রিকেট শুধু সেরা এগারোজন তৈরির জন্যই নয় বরং নতুন ক্রিকেটার তৈরির সুতিকাগার হিসেবে জানতো মানুষ। একসময় নিয়ম করে হতো আন্তঃস্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এক সময় অনেক ক্রিকেটারই ওই টুর্নামেন্টগুলো খেলে বড় হয়েছে; পরে জাতীয় দলে খেলেছেন। নতুন ক্রিকেটার পাওয়ার ওই পদ্ধতিগুলোও তো নিয়ম করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্ট কত বছর হয় না সেটাও বোধ করি ক্রিকেট কর্তাদের ধুলো পড়া ফাইল খুঁজে বলতে হবে। জেলা ক্রিকেটকে নিয়মিত করার কিংবা জেলায় জেলায় প্রশিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার কথা শোনা গিয়েছিলো এক সময়। সেই আয়োজন নিশ্চিত করেই ভেস্তে গেছে। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, নতুন খেলোয়াড় আসছে কোথা থেকে? ক্রিকেট তো খেলছে তারা; আছে নতুন মুখও। এদের উৎপত্তি কোথায়? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর; ক্রিকেটপ্রেমীরা নিজ দায়িত্বেই ক্রিকেটার হয়ে উঠছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রিকেটারদের তৈরিতে ক্রিকেট বোর্ডের অবদান অল্পই। একজন ছেলে কিংবা মেয়ে নিজ দায়িত্বে শিখে ‘তৈরি ক্রিকেটার’ হিসেবে সামনে আসে আর সেখান থেকেই নিজেদের পছন্দ অনুযায়ি বাছাই করে নেয় বোর্ড। যদিও গ্রামীণফোন ক্রিকেট একাডেমী কিংবা বয়সভিত্তিক কিছু কার্যক্রম চালু আছে বোর্ডের। সেখানেও সিলেকশন বা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে রীতিমতো হইচই হয়। দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতির খবর পাওয়া যায়! সে যাক, অতটুকুর জন্য বোর্ডকে ধন্যবাদ দেওয়াই যায় যে, বয়সভিত্তিক প্রশিক্ষণ আর ক্যাম্পিংগুলো ধরে রেখেছে তারা। কিন্তু টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে কিংবা দুনিয়ার প্রথম সারির ক্রিকেটীয় দেশ হিসেবে কী বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আসলেই মানসম্মত? এর উত্তর ভুল করেও চাইবেন না ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের কাছে। কেননা সেক্ষেত্রে যে উত্তর আসবে তাতে রীতিমতো ধন্দে পড়ে যেতে পারেন আপনি।
পান্থ রহমান

1 টি মন্তব্য:

  1. দু’ দিন আগে বাংলাদেশের সেরা এক পত্রিকায় দেখলাম খেলার পাতায় লিখা হয়েছে জাতীয় কোচ নিয়ে ‘ডেটলাইন’ ১৫ মে। যে রিপোর্টার আর তার সম্পাদক ‘ডেটলাইন’ এবং ‘ডেডলাইন’ এর পার্থক্য বোঝেন না তাদেরকেই আমরা সেরা সাংবাদিক হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছি। দুঃখ করার কিছু নেই, সব জায়গাতেই মেধাহীন এবং তেলবাজদের জয়জয়কার।

    উত্তরমুছুন