পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১২

সাংষ্কৃতিক বৈচিত্র নিয়ে সম্মেলন


ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আর প্রগতিশীল সংষ্কৃতি; সাংঘর্ষিক। কেননা রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার কেবলই স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংষ্কৃতিক সংস্থা, ইউনেস্কো আয়োজিত সাংষ্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা ও সম্প্রাসারণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়া বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সচিব ও বিশেষজ্ঞরা এমন মন্তব্য করেছেন। বক্তারা সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্য বিকাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সাংষ্কৃতিক বৈচিত্র রক্ষা ও বিকাশে আয়োজিত তিনদিনের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও ছিলো একাধিক সেমিনার। আলোচিত হয়েছে; এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্য আর তা রক্ষার নানান উপায় নিয়ে। সেমিনারে যোগ দিয়ে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, সচিব আর সাংষ্কৃতিক ব্যাক্তিত্বরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; বিভিন্ন জাতিগোষ্টির ঐতিহ্য সংরক্ষণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংষ্কৃতি কোন দেশের মানুষের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে। সে কারণেই সংষ্কৃতির মূলধারা ধরে রাখাটা জরুরী। এই সম্মেলনে আসা সকলেই সেই দিকে খেয়াল রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
সেমিনারে যোগ দিয়ে মালদ্বীপের পর্যটন ও সাংষ্কৃতিক মন্ত্রী বাংলাদেশের সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্যকে গর্বের অনুষঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, শুধুমাত্র এ দেশের বৈচিত্রময় সংষ্কৃতি দেখতেই পর্যটকদের ভীড় করার কথা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতেও তৈরি তার দেশ।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন; আমরা, বাংলাদেশিরা সংষ্কৃতির জন্য লড়াই করেছি। সেই সংষ্কৃতি আমরা নষ্ট হতে দেবো না। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সকলেরই সেই দিকে মনোযোগি হওয়া উচিত।
সম্মেলনে যোগ দেওয়া মালদ্বীপের পর্যটন ও সাংষ্কৃতি মন্ত্রী আহম্মেদ শামীম বলেন, বাংলাদেশের যে সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্য তারা সেটাকে পর্যটনে ব্যবহার করতে পারে। প্রয়োজনে মালদ্বীপ তাদের সহায়তা করবে।
বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা যায় না বরং কেউ সে চেষ্টা করলে সেই অপশক্তিই ধ্বংস হয়ে যায়।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন