পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ১২ মে, ২০১২

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জ্বালানী সংকট আর দূর্নীতি কমান; বিনিয়োগ বাড়বে॥ ইইউ


আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দূর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আর জ্বালানী সঙ্কটই এদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ করছে বলে মনে করে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। সিপিডি আয়োজিত পলিসি ডায়ালগে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন; ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে দু’পক্ষের অর্থনীতি। তারা বলেন, সহযোগিতা বাড়াতে হবে স্থানীয় পর্যায়ে।
ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় চার দশকের। ৭১’ পরবর্তী বাংলাদেশের পুনর্গঠন থেকে শুরু করে উন্নয়নের প্রতিটি ধাপেই পাশে ছিলো শক্তিশালী এই অর্থনৈতিক জোট। উন্নয়ন সহযোগিতার হিসেবে এই জোটই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতাগোষ্টি। রপ্তানীর বাজার কিংবা বিনিয়োগের প্রশ্নেও দীর্ঘদিনের সহযোগি এই জোটের সদস্যরা। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ আয়োজিত সেমিনারের বিষয়ও তাই ‘বাংলাদেশ ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের সম্পর্কের আগামী দশক বিষয়ে।
অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন; মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে বাংলাদেশকে শুধু ইউরোপের উন্নয়ন সহযোগিতা নয় বরং ইউরোপের সঙ্গে বাড়াতে হবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ। নইলে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ কঠিন।
সেমিনারে অংশ নিয়ে সাবেক-বর্তমান কূটনীতিক, শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, এবং আমলারা বলেছেন, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়তে চাই কাঠামোগত উন্নয়ন। তবে সেই উন্নয়ন হতে হবে সর্বত্র; বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ে। বিশেষ করে ঢাকায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত সুয়েন্ড ওলিং বলেন; এদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, জ্বালানী সংকট এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দূর্নীতি বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে দেয় না। তিনি বলেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবেই।
বাংলাদেশ চাইলে এই সমস্যা সমাধানে ইইউ পাশে থাকবে বলেও জানান ওলিং। বাংলাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক স্তম্ভ ‘রেমিটেন্স’ বাড়াতে অভিবাসন নীতি সংস্কারের কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন