আদর্শিক এবং বুদ্ধিদৃপ্ত উপায়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা
করা উচিৎ বলে করেন সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
অ্যালিস্টার বার্ট। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত উন্মুক্ত আলোচনায় এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি আরও বলেন, জনগনের হাতে এমন ক্ষমতা থাকা উচিৎ যাতে তারাই জাতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে।
তিন দিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
অ্যালিস্টার বার্ট যোগ দেন; ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের ঘনিষ্টতা আর চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক মুক্ত আলোচনায়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী,
গবেষক আর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ব্রিটিশ এই প্রতিমন্ত্রী
জানান, যুক্তরাজ্যের ৭০ প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াইশ‘ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ আছে বাংলাদেশে। জানান; গত পাঁচ বছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুন হয়েছে। যার পরিমান; ২০০ বিলিয়ন টাকা। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে তাদের ভূমিকা নিয়ে করা এক
প্রশ্নের উত্তরে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া আহ্বান জানান তিনি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যালিস্টার বার্ট বলেন, সন্ত্রাসবাদীদের কোন সীমানা
নেই, কোন দেশ নেই। তারা কখনও বাংলাদেশ, কখনও ব্রিটেনে অবস্থান করতে পারে। কিন্তু তাদের নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ অনেক ভালো। সেই সব সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের শুধুমাত্র আইন করে ঠেকানো যাবে না বরং তাদের বুদ্ধিদৃপ্ত
ও আদর্শিক উপায়ে প্রতিরোধ করতে হবে।
উন্নয়ন তহবিলে ছাড়ের ক্ষেত্রে পুরোনো তহবিলকে ‘নতুন মোড়কে’ জলবায়ু তহবিলে স্থানান্তরের
প্রশ্নটি এড়িয়ে গেলেও মন্ত্রী জানান;
বাংলাদেশকে দেওয়া অর্থের প্রতি তাদের নজরদারী থাকবে।
অ্যালিস্টার বার্ট বলেন, অবশ্যই আমাদের তহবিল কোথায় যাচ্ছে সেই বিষয়ে আমাদের লক্ষ
আছে। কোথায়, কিভাবে আমাদের টাকা খরচ হচ্ছে তা দেখার জন্য আমরা বিশেষ পদ্ধতিও অণুসরণ করে
থাকি।
জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারছে কিনা কিংবা তাদের ভোটই পরিবর্তন
নিশ্চিত করছে কিনা; সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রথায় জরুরী বলে মন্তব্য করেন এই
ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য,
তিন দিনের সফরে থাকা ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বার্ট ২৯ মে বিকেলে
যাবেন সিলেটে। কাল পরিদর্শন করবেন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিদের
অনুশিলন।
পান্থ রহমান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন