পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৫ মে, ২০১২

হিলারির সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশে চলমান সমস্যাগুলোর সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ ফ্লাইটে চীন থেকে বিকেল ৪টা চল্লিশ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। বিশ্বরাজনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি।
সন্ধ্যা ছ’টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক বৈঠক। ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দীপু মনি আর ৯ সদস্য নিয়ে বৈঠক করেন হিলারি ক্লিনটন। বৈঠকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সুশাসন, রাজনীতি, অভ্যন্তরীণ এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে সরাসরি সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে সহযোগিতার ইস্যুগুলো।
ডাক্তার দীপু মনি বলেন, আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুহসংহত হওয়া প্রয়োজন আর প্রয়োজনে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
প্রশ্নোত্তরে সাংবাদিকদের হিলারি জানান, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, খুন কিংবা গুমের মতো ঘটনাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে।
হিলারি বলেন, এ জাতীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সরকারকে। রাজনীতি মানুষেরই স্বার্থে হওয়াই বাঞ্চনিয় বলে মন্তব্য তার।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে হিলারি বলেন, গণতন্ত্রই একটি দেশের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা দেয়; আর তাই গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে এবং নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে সংলাপ জরুরী।
‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ নির্বাচন ও নির্বাচন পদ্ধতির স্বার্থে দুই দলের এক সঙ্গে কাজ করাটা জরুরী’, বলেছেন হিলারি।
দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক ধরে রাখতে প্রতিবছর দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ে বৈঠক আয়োজনের জন্য সই হয় ‘অংশীদারী সংলাপ’ চুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে চুক্তি সই করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন