পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ৬ মে, ২০১২

হিলারির সফরের দ্বিতীয় দিন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াকে এক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অনুরোধ করেছেন, আলোচনার মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে সমাধানে আসার। ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে তরুনদের সঙ্গে এক আড্ডায় এসব বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
দুই দিনের সফরের শেষ দিনে রাজধানীর এক স্কুলে ‘তরুণ বাংলাদেশিদের সঙ্গে আড্ডা’য় মেতেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। কথা বলেছেন, মন খুলে। তরুণদেরকে বাংলাদেশের ‘উন্নয়ন-নিয়ামক’ উল্লেখ করে হিলারি বলেন, উন্নয়নের পথে চ্যালেঞ্জ থাকে; সেগুলো মোকাবেলাও করতে হয়। বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি কিংবা শ্রমিকনেতার মৃত্যুর মতো ঘটনা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে বাজে ধারণা দেবে। হিলারি বলেন, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামের মৃত্যু কিংবা গুমের ঘটনাগুলো বাংলাদেশকে বাজে ভাবে বিশ্ব দরবারে প্রকাশ করবে। তিনি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, খুন-হত্যা, গুমের মতো ঘটনায় মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি হিলারি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে দুই বড় দলের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং তাদের বলেছি এক সঙ্গে কাজ করতে’।
নানান সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে নিজেদের ‘উপদেশ’ শোনান মার্কিন কূটনীতিকরা। এমনটা কেন করেন; জানতে চাইলে হিলারির জবাব, যুক্তরাষ্ট্র কেবল বিশ্ব শান্তির স্বার্থেই উপদেশ দেয়। হিলারির জবাব, আমাদের কাছে যারা সহযোগিতা চায় তাদেরই আমরা সহযোগিতা করি। তাদের উপদেশও দেই। তবে সব কিছুর পরও তার কথা, আমরা শুধু চাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত হোক।
বাংলাদেশের দূর্নীতির দিকে ইঙ্গিত করে হিলারি বলেন, দূর্নীতি একটি দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়। এক প্রশ্নের উত্তরে হিলারি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসলাম বিরোধী নয়। বরং মার্কিনিদের সম্পর্কে এমন ভুল ধারণায় তিনি ব্যাথিত। দুপুরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বিমানে ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন হিলারি ক্লিনটন।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন