মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়নের ব্যাপারে
বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার সন্তোষজনক সমাধানে আসতে না পারায় তিনি নিরাশ। তবে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংকের হাত গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ড.
মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো হাত নেই। এটি বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের দ্বিপক্ষীয়
বিষয়।
আজ বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন বিভাগের একটি প্রকল্প
নিয়ে অভিজ্ঞতা-বিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। মধুপুর গড় এলাকার দোখলায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থা বিষয়ে এ দেশের সব রাজনৈতিক দলের
সংলাপে বসা দরকার। সংলাপে বসে আলোচনার ভিত্তিতে সমঝোতায় আসা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি আশাবাদ
ব্যক্ত করেন।
বন বিভাগের এই প্রকল্পের নাম ‘রিভিজেটেশন অব মধুপুর ফরেস্ট
থ্রু রিহেবিলেশন ফরেস্ট ডিপেন্ডেন্ট লোকাল অ্যান্ড এথনিক কমিউনিটিস প্রজেক্ট’। বন বিভাগের এই প্রকল্পের কারণে বনের ওপর চাপ কমেছে
বলে মন্তব্য করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, দুই বছর ধরে এ বনে গাছ কাটা
বন্ধ রয়েছে। বন মামলাও হয়নি। সরকার মধুপুর বনকে শুধু
বাঁচানোর কথাই বলছে না, বরং বনাঞ্চলে বসবাসরত ৪০-৫০ হাজার বনবাসীর জন্য কাজ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অভিজ্ঞতা-বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক
এম বজলুল করিম চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মধুপুরের বনজ সম্পদ জাতীয়
সম্পদ। তিনি সবার সহযোগিতায় মধুপুর বনাঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার তাগিদ
দেন। আদিবাসী-বাঙালি সবাইকে মধুপুর বনকে বিশ্বে একটি মডেল হিসেবে তুলে ধরতে মন্ত্রী
আহ্বান জানান।
সংবাদ: সংগ্রহ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন