পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১২

পত্রিকা-সাময়ীকিতে হুমায়ূন

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পার হলেও হুমায়ূন আছেন সাবর মাঝে। এমনকি জাতীয় দৈনিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়েই থাকছেন হুমায়ূন। শুক্রবারের সাহিত্য সাময়িকীর প্রায় প্রতিটিতেই হুমায়ূন আছেন ‘প্রধান খবর’ হয়ে। হুমায়ূনকে নিয়ে লেখা কিংবা হুমায়ূনের লেখাগুলো সম্পর্কেই আজকের প্রতিবেদন।

‘নন্দিত নরক’ ছেড়ে স্বর্গের পথে বরেণ্য কথা সাতিহ্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ধারেকাছে নেই; তবুও যেন খুন কাছেই আছেন হুমায়ূন। আছেন আত্মায়, মন-মননে। হুমায়ূন যেন আকড়ে ধরে আছেন বাঙালীর সত্ত্বা। জাতীয় দৈনিকের সাপ্তাহিক সাময়িকীগুলো যেন তারই প্রমান। এ সপ্তাহের সাহিত্য আয়োজন তাই শুধুই হুমায়ূনের নামে। হুমায়ূনের জন্যেই লেখা হয়েছে ‘মৃত্যু হোক লয়’ ... কারও চোখে ‘হুমায়ূন বৃষ্টি ও জোছনার এপিটাফ’ ... কেউ বলেছেন তিনি ‘আমাদের জীবনের ঘনিষ্ট রূপকার’। কারও কাছে হুমায়ূন ‘সাহিত্যের জাদুকর’ ... কারও জন্যে ‘ফ্রাংকেনস্টাইন’ অথবা ‘সোনা ফলানো অচিন জাদুকর’। যে যেভাবেই স্মৃতিচারণ করুক প্রায় সবক্ষেত্রেই আছে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস-গল্প-কবিতা-গান কিংবা লেখকের তৈরি করে যাওয়া চরিত্রগুলো।
হুমায়ূনের ডাকনাম ‘কাজল’ নামে হুমায়ূনের মা’য়ের লেখা মানুষকে যেমন আবেগী করেছে তেমনি কোন কোন পত্রিকা হুমায়ূনকে মনে করিয়ে দিয়েছে; তারই নিজের জবানীতে। ‘পাঠকের নিজস্ব হুমায়ূন’ সাক্ষাৎকারে দিয়েছেন ‘কিছু আলৌকিক ঘটনার বয়ান’। ‘মৃদু মানুষের দ্রষ্টা’ হুমায়ূনের গল্পের পুনঃমুদ্রনও হয়েছে।
‘জনপ্রিয়তা কি শিল্পের শত্রু?’ সাময়িকীর স্মরণপাতায় তোলা প্রশ্নের জবাব না মিললেও ‘উড়ে যাওয়া এই একলা পাখি’ হুমায়ূনের গল্প-উপন্যাসজুড়ে থাকা চরিত্রগুলোকে রোমন্থন করেছেন লেখকরা। মনে করিয়ে দিয়েছেন হিমু, পরী, নিলু কিংবা রাবেয়াদের।
সাক্ষাৎকারে হুমায়ূনের জবানীতে আছে ‘যখন সময় হবে, চলে যাবো’ ... প্রশ্ন হলো; সময় হয়েছিলো কী? নাকি অভিমানে, সময়ের আগেই চলে গেলেন আপনি, প্রিয় লেখক!
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন