পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১২

ট্যাংকারডুবি: তেল নিঃসরণ নিয়ে উদ্বেগ

বাংলাদেমের মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্যাংকার তেকে তেল বের হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে পরিবেশের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে; ৭ লাখ লিটার পেট্রোল আর ডিজেল নিয়ে তেল বিপণনকারী সংস্থা যমুনার এই ট্যাংকারটি দক্ষিণাঞ্চলের ডিপো,  বরিশালে যাচ্ছিলো। তবে বুধবার রাতের বেলায় কালিগঞ্জ এলাকায় ওই ট্যাংকারটি দুর্ঘটনায় পরে। ট্যাংকারের নাম মেহেরজান। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে; ফজলুল হক-৩ নামের এক কার্গোর সঙ্গে ধাক্কায় ট্যাংকারটি মাঝনদীতে ডুবে যায় এবং ডুবে থাকা ট্যাংকার থেকে যে তেল নিসৃত হচ্ছে। বরিশালের জেলেরা জানিয়েছেন; ডুবে যাওয়া মেহেরজান ট্যাংকার থেকে পরদিন থেকেই তেল বের হতে দেখা যাচ্ছে।

যমুনার বরিশাল ডিপোর কর্মকর্তারা মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি রিয়াজ হোসেনকে জানিয়েছেন, ট্যাংকারের ইঞ্জিন বা বাতাস বের হওয়ার পাইপ দিয়ে তেল নিসৃত হয়ে থাকতে পারে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন অবশ্য আশ্বস্থ করেছে এরই মদ্যে একটি জাহাজ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্যাংকারের অবস্থান চিহ্নিত করেছে। দ্রুতই উদ্ধার কাজ শুরু হবে। তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকী টেলিফোনে জানান; ট্যাংকার না তুলে পানির নিচ থেকে তেল সরিয়ে নেওয়া সম্ভভ হবে না। তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বেষ্টনি দেওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, মেহেরজান ট্যাংকারে জ্বালানি ৬১০ টন জ্বালানী তেল আছে। অথচ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শক্তির উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা-এর ক্ষমতা মাত্র ৬০ টন। ফরে অন্য কোন উপায়ে তেল ছড়িয়ে যাওয়া ঠেকানো বা তেল তুলে ফেলার প্রতি গুরুত্বারোপ করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে অনেকে পাইপের মাধ্যমে তেল উত্তোলনের বিষয়টি ভেবে দেখার কথা বলেছেন।
তবে দূষণ দ্রুত যেন ছড়িয়ে না পরে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেছেন, তেলের ক্ষতিপূরণ হিসাবে ট্যাংকার মালিকের কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী আদায় করা হবে।
উল্লেখ্য; ট্যাংকারেরকর্মী নিজাম উদ্দিন (৩৮) এখনও নিখোঁজ আছেন।
পান্থ রহমান, ঢাকা, বাংলাদেশ
#

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন