পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১২

অসত্য সংবাদের প্রতিবাদ করেছে লিবিয়ান দূতাবাস

অসত্য আর ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে লিবিয়ার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে; এমনকি বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানী বন্ধ করে দিতে পারে লিবিয়া। সংবাদ সম্মেলনে লিবিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কামেল আল মাহজুব বলেন; কেউ কেউ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করতে চায়। তবে এতে ক্ষতি হবে বাংলাদেশেরই।
লিবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। কাজের খোঁজে মুসলিম অধ্যুসিত এই দেশটিতে আছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশি। গাদ্দাফি বিরোধী আন্দোলন এবং তার পরবর্তী যুদ্ধাবস্থার কারণে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশিরা ফেরত এলেও নতুন করে জনশক্তি আমদানী শুরু করেছে লিবিয়া। অথচ লিবিয়া পুর্নগঠনের এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক রপ্তানী পড়েছে হুমকির মুখে। ঢাকায় লিবিয়ান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা ঘুষ গ্রহনের সংবাদ পরিবেশিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে দেশটির দূতাবাস এবং শঙ্কা জেগেছে শ্রমিক রপ্তানী বন্ধ হয়ে যাওয়ার। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কামেল আল মাহজুব নিজে সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন তার প্রতিবাদ।
ঢাকায় লিবিয়ান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কামেল আল মাহজুব বলেন, আমাকে এবং আমার দূতাবাস নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। আমি এর প্রতিবাদ করছি। একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল এবং কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা লিখেছে; আমি ভিসা দেওয়ার বিনিময়ে ৫শ ডলার ঘুষ নেই। তারা লিখেছে; আমি নাকি ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছি। প্রতি পাসপোর্টে ৫শ ডলার নিলে ১০ হাজার পাসপোর্টে কী ১০০ কোটি হয়? আমি গণমাধ্যমগুলোর কাছে প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করছি। এবং আমার প্রতিবাদ পত্রিকার প্রথম পাতায় ছাপতে হবে।
মাহজুব অভিযোগ করেন; কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যম তার সম্পর্কে কুৎসা রটাচ্ছে। এতে করে লিবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে ভাতৃপ্রতীম সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। ব্যাক্তিগতভাবে তিনি কারও সঙ্গে ঘুষ লেনদেন করেননি বলে দাবী করে তিনি বলেন; এই অভিযোগ তাকে এবং তার দেশকে অসম্মানিত করেছে।
কামেল আল মাহজুব বলেন; আমার দেশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, প্রয়োজন আমাদের নয়। শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে আমাদের মানবসম্পদ নিতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা লিবিয়ার নেই। অন্য অনেক দেশ লিবিয়াতে জনশক্তি রপ্তানী করতে আগ্রহী। তেমন অনেক দেশ থেকে আমরা লোক নিতে পারব। তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে এবং প্রয়োজনে আমরা তাদের সুযোগ দেব। দোষ তো আমাদের নয়; তোমাদের মিডিয়াই তো অন্যদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। ... আমার দেশের কর্মকর্তরা বেশ রাগান্বিত। সহসাই একটা কমিটি বাংলাদেশে আসবে। তারা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। জানতে চাইবে; আমার কিংবা আমাদের দূতাবাসের দোষ কী? কেননা আমি অপরাধ করলে তো তার সাজা আমার সরকার দেবে; তোমাদের মিডিয়া নয়? আমার বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ অসম্মানজনক।
ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ তোলা হলেও সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়নি উল্লেখ করে মাহজুব বলেন; লিবিয়া ওই সংবাদ মাধ্যমগুলোকে ভুল স্বীকারের সুযোগ দিতে চায়; অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে তারা।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন