পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১২

কুমিল্লায় আরও গ্যাসের সন্ধান

৩১ জুলাই; ঢাকা:
মাত্র সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে আরও নতুন গ্যাসক্ষেত্রে সন্ধান মিলিছে বাংলাদেশের কুমিল্লায়। আগেরবার জেলার মুরাদনগর থানার শ্রীকাইলে গ্যাস পাওয়া গিয়েছিলো; এবারও ওই একই এলাকায় মিললো দ্বিতীয় ক্ষেত্র। দুই নম্বর অনুসন্ধান কূপে পাওয়া গেলো এই গ্যাসের স্তরটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে; তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড কিংবা বাপেক্স।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ১৩ জুলাই দুই নম্বর কূপের যে স্তরটি গ্যাসপূণৃ ছিলো এবারে ওপরের অংশে পাওয়া গেছে নতুন ক্ষেত্র। বিষয়টি সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ড্রিলিং স্টেম টেস্ট (ডিএসটি) পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে। যদিও গ্যাসের মজুদ নিয়ে এখনও নিশ্চিত করার মতো কিছু বলতে পারেননি মর্তুজা ফারুক।

নতুন গ্যাস ক্ষেত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের কিংবা পেট্রোবাংলার  চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর বলেছেন, নিন্মস্তরের গ্যাসজোনটি ২৬ মিটার পুরু ছিলো তবে এবারে পাওয়া নতুন জোনের পুরুত্ব ৪৮ মিটার। তিনি জানিয়েছেন; “নতুন ক্ষেত্রে গ্যাসের চাপ ৭৬০ পিএসআই কিংবা প্রেসার পার স্কয়ার ইঞ্চি মাপা হয়েছে। ফলে দৈনিক ১৭ মিলিয়ন ঘণফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে।” তিনি জানান; ‘শ্রীকাইল তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন’ প্রকল্প সম্পন্ন করতে ব্যয় ধরা হচ্ছে ৮১ কোটি ১২ লাখ টাকা।’

বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরু হলে দেশে চালু কূপের সংখ্যা দাড়াবে ৮২টিতে। আর সেই গ্যাস শিল্প, সার ও বিদ্যুৎ কারখানাগুলোতে সর্বরাহের ঘোষণা দিয়েছে পেট্রোবাংলা।

পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে দেশে দৈনিক দুই হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হচ্ছে দুই হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। এছাড়াও বাংলাদেশে এমুহুর্তে গ্যাসের মজুদ ধারণা করা হয়; ২০ দশমিক ৬২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এ মজুদ থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ দশমিক ৭৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তাতে গ্যাসের মজুদ আর ৯ দশমিক ৮৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট আছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা।

২০০৪ সালেও শ্রীকাইলে গ্যাসের আবিস্কারের ঘোষণা দেওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি। তবে ওই স্থানের পাশেই দ্বিতীয় স্থানে ১৫০ লাইন কিলোমিটার দ্বি-মাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপ চালিয়ে যায় বাপেক্স। ধারণ ছিলো ৫০০ বিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস থাকতে পারে।

উল্লেখ্য; পেট্রোবাংলার সহযোগী সংস্থা বাপেক্স তিনটি ক্ষেত্রে গ্যাস পেয়েছে। ১৯৯৫ সালে ভোলার শাহবাজপুরে প্রথম, ১৯৯৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সালদায় দ্বিতীয়, গত বছরের ২৮ অগাস্টে সুন্দলপুরে তৃতীয় ক্ষেত্রে গ্যাস পায় প্রতিষ্ঠানটি।
পান্থ রহমান, ঢাকা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন