পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১২

বাংলাদেশ ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক

উপ-আঞ্চলিক জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহারে ঐক্যমত হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপাল। ভারতকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুতই ত্রিপক্ষীয় একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস। নেপালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে দুই পররাষ্ট্র সচিব এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের হলেও; ছিলো না আনুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম। এবারে ‘পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়’-এ নিয়মিত বৈঠকের ঘোষণা দিয়ে সেই প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো বাংলাদেশ আর নেপাল। দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব নিজেদের মধ্যে বৈঠকে সই করলেন কূটনৈতিক সম্পর্কের এই সমঝোতা স্মারকে। পূর্ণ হলো আনুষ্ঠানিকতা। এখন এই প্ল্যাটফর্মের আওতায় আলোচনা হবে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বলেছেন, “দুই দেশের মধ্যে এখন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হলো। যেই প্ল্যাটফর্মের আওতায় বাংলাদেশ ও নেপাল এর পররাষ্ট্র সচিবরা নিয়মিত বৈঠক করবেন এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।”

সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন, যোগাযোগ ছাড়াও আলোচিত হয়েছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ইস্যুটি। সচিবরা জানিয়েছেন; জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সেপ্টেম্বরে ঢাকায় বৈঠকে হবে ওয়াকিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক।

নেপালের পররাষ্ট্র সচিব দূর্গা প্রসাব ভট্টরাই জানিয়েছেন; নেপাল এই বৈঠকে বাংলাদেশের কাছে ট্রানজিট বা যাতায়াত সেবা চেয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের করিডর ব্যবহার করা এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ দেখিয়েছে।

মিজারুল কায়েস বলেন; বাংলাদেশও তাদের জন্য ট্রানজিট দিতে চায়। তাছাড়া মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে নেপালকে সুযোগ দিতে চায়।

“ভারতকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ও নেপাল একটি ত্রিপক্ষীয় ওয়ার্কিং কমিটি করবে। সেই কমিটি জলবিদ্যুৎ নিয়ে গবেষণা করে সম্ভাব্যতা সম্পর্কে জানাবে। তারপরই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। তবে আপাতত এখনও কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে বলে ধরে নেওয়া যায়।”

বৈঠকে নেপালের পক্ষ থেকে আবারও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবাহারের আগ্রহ দেখানো হয়েছে। তাছাড়া দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে; ট্রানজিট এবং রেল ও সড়ক যোগাযোগ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই সচিব।
পান্থ রহমান, ঢাকা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন