পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

বিডিআর বিদ্রোহীদের সাজা

১৪ জুলাই, ঢাকা:
বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত থাকার অপরাধে পিলখানার বর্বিমান বিজিবি হাসপাতাল ইউনিটের ২৫৩ জওয়ানের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিদ্রোহের বিচারে গঠিত বিজিবির (আগের বিডিআর) বিশেষ আদালত-১০ এ গতকাল শনিবার এই দণ্ডাদেশ দেন। সাজা শোনান কর্নেল খোন্দকার ওবায়দুল আহসান।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সবচে বেশি সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে ৩৪ জনের। কম শাস্তি চার মাসের; ৬ জনের। এর বাইরেও ১৫ জনকে ৬ বছর, ১১ জনকে ৫ বছর, ১০ জনকে ৪ বছর, ৩৮ জনকে ৩ বছর, ২ জনকে ২ বছর ৬ মাস, ১১১ জনকে ২ বছর এবং ২৬ জনকে ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শুধু কারাদন্ডও নয় বরং ১০০ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে প্রত্যেককে। অপরাধের অভিযোগ থাকলেও খালাস পেয়েছেন মেডিক্যাল সহকারী মো. কুতুব উদ্দিন এবং সিপাহি মো. জাকির হোসেন।

বিচার চলাকালে চলতি বছরের ২০ মে জহিরুল ইসলাম নামে এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

৪০ দিনের শুনানি ও আইনি কার্ ক্রমের পর মামলার রায় হলো। মামলায় মোট সাক্ষী ৯৯ জন এবং সাফাই সাক্ষী ১৯ জন। এই মামলার আসামিদের মধ্যে ৩২জন দোষ স্বীকার করেন।

উল্লেখ করা যেতে পারে; ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন নিহত হন। রক্তাক্ত বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর নাম পরিবর্তিত হয়ে বিজিবি হয়েছে।
২০১০ সালের ২৮ এপ্রিল অভিযোগ গঠন হয়েছিল ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।

মামলার প্রসিকিউটর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আব্দুল আলীম রায় শেষে সাংবাদিকদের জানান, মহাপরিচালকের আদেশ অমান্য, সেনা কর্মকর্তাদের মরদেহ পোড়ানোর চেষ্টা, বিদ্রোহ দমনে কোনো চেষ্টা না করে অংশগ্রহ, অপত্তিকর মন্তব্য, অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তিসহ নানান অভিযোগ ছিলো আসামিদের বিরুদ্ধে।

বিচারের ক্ষেত্রে অপরাধের প্রকৃতি, আসামিদের পূর্ব আচরণ, বীরত্বপূর্ণ অবদান, চাকরিকালীন পদক পাওয়া, গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে থাকার মেয়াদ বিবেচনায় আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পান্থ রহমান, ঢাকা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন