পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ২৩ জুন, ২০১২

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জার্মানি

সস্তা শ্রমিক নয়, সম্পূর্ন ব্যতিক্রমি কারনে জার্মানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। কারনটি হচ্ছে কাঁচা মালের সহজলভ্যতা। দেশটির শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সফররত জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ওয়েস্টারভেল অবশ্য বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনেরও তাগিদ দিয়েছেন।

নিজের দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে একবেলার ঝটিকা সফরে বাংলাদেশ এসেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ওয়েস্টারভেল। দুপুরে ঢাকায় পৌছেই সরাসরি চলে যান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায়। সেখানেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ওয়েস্টারভেল। কথা বলেন; দুই দেশের সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে। বৈঠক শেষে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান; সহযোগিতার নানা ক্ষেত্র ছাড়াও বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়েও তাদের আলোচনা হয়েছে।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ওয়েস্টারভেল বলেন, আমাদের দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। আমাদের গ্যাস, বিদ্যুৎ কিংবা জ্বালানী নেই; আমাদের শুধু মেধা আছে। আর সে কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি বলেন, জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক অক্ষুন্ন থাকবে। যদিও দীপু মনি ইউরো-জোনের অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে নিজের শঙ্কার কথা জানান। তিনি বলেন; মনে হচ্ছে ইউরোপের এই মন্দাভাব সহজে কাটবে না। তবে এ কারণে জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোন প্রভাব পরবে না।

ইউরো জোনের অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে উল্টো বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নে ‘সফট লোন’ দেওয়ার অঙ্গীকারের কথা জানান জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি নিরাপত্তা, সুশাসন ও আইন সংস্কারে জার্মান সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
গুইডো ওয়েস্টারভেল বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০০কোটি ডলার দিয়েছি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা হিসেবে। সেই সহযোগিতার বিষয়টি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জ্বালানী খাতে সহযোগিতার জন্য আমরা ৬০ মিলিয়ন ডলার সফল লোন দেওয়ার বিষয়ে কমিট করেছি।

সাম্প্রতিক সময়ে ঘটা খুন, হত্যা, নিখোঁজের মতো ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান। বলেন; ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত জরুরী।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন