পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১২

মানব পাচার সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি

আন্তর্জাতিক মানব পাচার সূচকে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানব পাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই উন্নতির কথা জানানো হয়েছে। তবে অভিবাসন বিষেজ্ঞদের মতে, এই হিসেবও ত্রুটিপূর্ন। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশীদের অভিবাসনের সঙ্গে পাচারের বিষয়টিকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। সরকারের উচিৎ এই ত্রুটি সংশোধনে উদ্যোগি হওয়া।

সরকারী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য আর দূরপ্রাচ্য মিলিয়ে অভিবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৭১ লাখ। অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, অবৈধ অভিবাসীদের ধরলে এই সংখ্যা প্রায় দেড় কোটিতে দাড়াবে। বিশ্ব শ্রমবাজারে থাকা অভিবাসীরা বছরে দেশে পাঠান প্রায় ১২শ কোটি ডলার বা ৯৬ হাজার কোটি টাকা। দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান অনেক। অথচ বাংলাদেশের শ্রমিক অভিবাসনের সঙ্গে মানব পাচারের বিষয়টি মিলিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাতেই আপত্তি অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ তাসনিম সিদ্দিকী বলেন; যে প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে তাতে বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি আছে আমার। বিশেষ করে, প্রতিবেদনে অভিবাসনের সঙ্গে মানব পাচারের বিষয়টি গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন হয় এবং সেই অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে হয়তো ঝামেলা আছে বিশেষ করে অভিবাসন খরচ নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে এবং বিষয়টি সত্য। সেখানে মিথ্যা, দূর্নীতি হয়; তার মানে এই নয় যে ওই মানুষগুলোকে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। অবৈধ পথে অভিবাসী হওয়া আর মানব পাচারের মধ্যে পার্থক্য আছে।
টানা তিন বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারীর মধ্যে থাকা বাংলাদেশ; মানব পাচার রোধে আইন প্রণয়নসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় সূচকে একধাপ উন্নতি হয়েছে বলে দেখানো হয় মার্কিন প্রতিবেদনে।
তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, সূচকে বাংলাদেশকে একধাপ ওপরে ওঠানোয় আমরা তাদের ধন্যবাদ দিতে পারি। কিন্তু মূল সমস্যা হলো অন্যখানে; বেশ কিছু অস্বচ্ছ এবং ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে, যার সংশোধন হওয়া উচিত।
তাসনিম সিদ্দিকী আশা করেন বাংলাদেশ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ভুল সংশোধন করে পুনরায় প্রতিবেদনটি প্রকাশের অনুরোধ জানাবেন।
এই বিশেষজ্ঞের মতে, এই অবস্থান থেকে আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। এইজন্য প্রয়োজন পাচার আইনের সঠিক বাস্তবায়ন এবং মাঠ পর্যায়ের দালালদের বিচারের আওতায় আনা ।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন