পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২

ভারত সমুদ্রসীমার দ্বিপাক্ষিক সমাধানে আগ্রহী

সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে আগ্রহী ভারত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন, ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ।
ঢাকায় ভারতের এই নয়া হাহইকমিশনার প্রথমবারের মতো দেখা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনির সঙ্গে। সে সময় দুই দেশের মধ্যে ঝুলে থাকা ইস্যুগুলোর মধ্যে তিস্তার পানি বন্টন, সীমানা নির্ধারণ ও সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত সালিশি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পঙ্কজ। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা জেতায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক শালিস আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
জাতিসংঘ আদালতে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা-বিরোধ সংক্রান্ত মামলার রায় বাংলাদেশের পক্ষে যাওয়ার দুই দিনের মাথায় ভারত এ অভিমত জানালো।

বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধ রয়েছে যা নিয়ে চলমান মামলার রায় ২০১৪ সালে হওয়ার কথা।
মিয়ানমারের সঙ্গেও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ ছিল যা বুধবার জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনালের এক রায়ে দীর্ঘ ৩৮ বছর পর মীমাংসা হয়।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ টেরিটরিয়াল ওয়াটার ও মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট করলে ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের ঘোষিত বেইজলাইন বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তারা দাবি করেছিল, বাংলাদেশের বেইজলাইন তাদের সমুদ্রসীমায় ২০ নটিক্যাল মাইল ঢুকে গেছে।
৫৪ বছর বয়সী পঙ্কজ হাই কমিশনার হিসাবে গত ৯ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পেয়ে ঢাকা পৌঁছান গত ৭ মার্চ। তিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন ১৯৮২ সালে।
নিজ দেশের বাইরে তার প্রথম কর্মস্থল ছিল বাংলাদেশই। ঊনিশশ আশির দশকের শেষভাগে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন