পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১২

এবার মহাকাশ কক্ষপথে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’

তিন বছরের মধ্যে মহাকাশে স্থাপিত হবে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট ... ‘বঙ্গবন্ধু-১’। নিজস্ব এই স্যাটেলাইট স্থাপনার জন্য আজ মার্কিন প্রতিষ্ঠান এসপিআই-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশের বিটিআরসি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল রূপ দেওয়ার লক্ষ পূরণেই সরকারের এই উদ্যোগ।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ১৯৫৭। সোভিয়েত তখনও অক্ষত। অর্থ, সম্পদ আর প্রযু্িক্ততে মহা শক্তিধর। নিজেদের প্রযুক্তিগত শক্তিকে প্রতিপক্ষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই মহাকাশে স্থাপন করে ‘স্পুটনিক-ওয়ান’ নামের স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ।
স্পুটনিক ছিলো মানুষের তৈরি প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ। এর আগে চাঁদকেই পৃথিবীর চারপাশে একমাত্র উপগ্রহ হিসেবে জেনেছে মানুষ। কিন্তু স্পুটনিকের পর সেই সংখ্যা এখন হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বের মাত্র দশটি দেশ নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে পারলেও পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে ৫০ দেশের উপগ্রহ। এর মধ্যে উপমহাদেশের ভারত আর পাকিস্তানেরও আছে নিজস্ব উপগ্রহ। এবারে সেই তালিকায় যোগ হচ্ছে বাংলাদেশের নাম।
২০০৯ সালে প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক বিচার-বিশ্লেষণের পর বৃহস্পতিবার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী সহযোগি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেলো বাংলাদেশের।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল রূপ দিতে এই স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ আমাদের দারুণভাবে সহযোগিতা করবে। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের আগ্রহই প্রমান করে যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে বদ্ধ পরিকর। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু যোগ করেন, বাংলাদেশের এখন অনেক দূরের পথ হাটতে হবে। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ, এর ভেতর থেকেই এগিয়ে যেতে হবে।
টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট এবং ব্রডকাষ্ট উন্নয়নে এই স্যাটেলাইট দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ এবং নীতি নির্ধারকরা।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মে. জে. (অবঃ) জিয়া আহমেদ তার সূচনা বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে প্রায় তিন কোটি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এই সংখ্যা এবং ইন্টারনেটের মান বাড়াতে উপগ্রহটি সহায়ক হবে। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে দেখতে চায়। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের পথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সঙ্গে থাকবে বলেও আস্বস্থ্য করেন তিনি।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চলা দেশের টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ ব্যবহার করতে পারবে। তাতে খরচও কমবে।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন