পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১২

বাংলাদেশের বন্ধুরা ঢাকায়

৭১‘এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের নৃসংসতাই বাংলাদেশের পক্ষে দাড় করিয়ে দিয়েছিলো বিদেশি বন্ধুদের। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এমনই বলেছেন, সম্মাননা নিতে আসা বাংলাদেশের সুহৃদরা। রেবাবার সকালে ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তারা।
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যখন বাংলাদেশে চলছে পাকিস্তানী হানাদারদের ভয়াল আক্রমন। ঠিক সে সময় নানা কারণে বাংলাদেশে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্তারা দেখেন পাকিস্তানী বর্বরতা। কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করেন তারা। সাধ আর সাধ্য অনুযায়ি পাশে দাড়ালেন বাংলাদেশের। চোখের সামনেই পাকিস্তানের বর্বরচিত আচরণ আর নির্মমতা প্রত্যক্ষ করা এই মানুষগুলোকে ‘ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ’ নামে ডাকছে স্বাধীন বাংলাদেশ। সম্মাননা নিতে আসা সেই সব বন্ধুরা সকালে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর সেই সব বন্ধুরা আবার ফিরে এসেছেন বাংলাদেশে। চার দশকে মাঝ বয়সী এই দেশটাকে দেখে অভিভূত তারা। আরও অভিভূত তাদেরকে সম্মান জানানোর এই উদ্যোগে।
সে সময়ের ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখক সায়মন ড্রিং বলেন, এভাবে এ দেশে ফিরে আসাটা আনন্দের। আমি অভিভূত।
ভারতের লে. জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমাদের সম্মান জানানো হচ্ছে তাতে আমি যার পর নাই আনন্দিত। আমি সত্যিই আনন্দিত যে বাংলাদেশ আমাদের মনে রেখেছে।
তাদের মতে ৪০ বছরে এ দেশ এগিয়েছে অনেক। আর তরুনরা দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখছে । তাদের আশা আগামীতেও তরুনদের হাত ধরেই সামনে এগিয়ে যাবে এই দেশ... এই সোনার বাংলাদেশ।
ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং তার জবানীতে বলেছেন, আমরা দেখেছিলাম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী কিভাবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে। কিভাবে অত্যাচার করেছে। আমাদের সহ্য হয়নি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি সহযোগিতা করার।
লে. জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব একাত্তরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে, বাংলাদেশে পাকিস্তানীদের বর্বরতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ওরা নিষ্ঠুরতা করেছিলো।
ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ি থেকে এই সম্মানিত বিদেশি নাগরিকরা যান নৌ ভ্রমনে। যেখানেই দুপুরের খাওয়া শেষে বিকেলে ঢাকায় ফিরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে যান এই বিদেশিরা। পরে সেখান থেকে শিখা চিরন্তনের সামনে স্মরণ করেন ১৯৭১-এর শহীদদের।
উল্লেখ্য, আগামী ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সম্মানিত করবেন মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা সে সব বীর বন্ধুদের।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন