পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

জার্মানির হামবুর্গ থেকে পাঠানো নোট


আজ বাংলাদেশের জনগনের জন্য অত্যন্ত গৌরবময় এবং আনন্দের দিনবঙ্গোপসাগরের জলরাশি এবং তলদেশের সম্পদরাজি-তে আজ বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছেজাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক আদালত International Tribunal for Law of the Sea তথা ITLOS বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক এলাকায় এবং তদুর্ধ মহীসোপান এলাকায় বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ অধিকারের আইনগত স্বীকৃতি দিয়েছে
আপনারা অবগত আছেন যে, বঙ্গোপসাগরে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অমিমাংসিত রয়েছে যার ফলে দীর্ঘ ৩৮ বছর যাব আমরা সমুদ্র সম্পদ আহরন করতে ব্যর্থ হয়েছিআমাদের সরকার দায়িত্বগ্রহনের পর অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে দ্রুততম সময়ে সমুদ্রসীমা নির্ধারনের জন্য আন্তর্জাতিক আইনের আশ্রয় নেয়তারই প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর মিয়ানমারের বিপক্ষে জার্মানীর হামবুর্গে অবস্থিত সমুদ্র আইন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়২৩ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাইবুনাল আজ এক ঐতিহাসিক রায়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের ন্যায্যতা ভিত্তিক সমুদ্রসীমার দাবীকে সমুন্নত রেখেছেমিয়ানমারের প্রস্তাবিত সমদুরত্ব পদ্ধতি যা কিনা বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকাকে ১৩০ ন্যটিক্যাল মাইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেয়, তা প্রত্যাখ্যান করে ট্রাইবুনাল ইকুইটি (ন্যায্যতা)-র ভিত্তিতে দুদেশের সমুদ্রসীমা চুড়ান্তভাবে নির্ধারন করে দিয়েছে
এপ্রসংগে আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে আরো বলতে চাই যে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকার এ অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসাবে মাত্র তিন বছরের মাথায় ১৯৭৪ সালে Territorial Waters and Maritime Zones Act পাশ করেএছাড়া ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র সীমা নির্ধারনে আলোচনা-ও ১৯৭৪ সালে শুরু করা হয়এরপর পরবর্তী সরকারগুলো সাগরে এবং সাগরের সম্পদে বাংলাদেশের জনগণের জন্য ফলপ্রসু কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়২০০১ সালে এই আওয়ামী লীগ সরকার জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন অনুসমর্থন করে এবং ২০০৯ সালে আমাদের সরকারই এই আইনের অধীনে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চুড়ান্ত ভাবে নির্ধারনের জন্য ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার সাহসী পদক্ষেপ গ্রহন করেআজকে আমরা তার সুফল পেয়েছিবঙ্গোপসাগরের জলরাশি এবং তলদেশের সকল প্রানীজ ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, আহরণ, ব্যাবস্থাপনা এবং সংরক্ষনের নিরঙ্কুশ অধিকার আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্য প্রজন্মের জন্য নিশ্চিত করেছিআমাদের এই উদ্যোগে সার্বিক সহযোগীতা এবং সমর্থন প্রদানের জন্য আমি এই দেশের আপামর জনসাধারনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই
(এই নোটটি পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের দপ্তর থেকে পাঠানো হয়)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন