পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

সমুদ্রসীমা মামলায় জয় এখন প্রয়োজন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকা সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত জটিলতা কেটে যাওয়ায় খুশি মিয়ানমার। সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় মিয়ানমার মেনে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মিন লুইন। আর এই রায়কে বাংলাদেশের অর্জন উল্লেখ করে দেশের কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ভূতত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন মিয়ানমারকে সঙ্গে নিয়েই সমুদ্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজে নামতে হবে। বঙ্গোপসাগর নিয়ে একটি আলাদা কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব তাদের।

প্রায় চার দশক ধরে ঝুলে থাকা সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে। বাংলাদেশের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে জার্মানির হামবুর্গের ওই আদালতে দফায় দফায় শুনানি আর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে রায় আসে ১৪ মার্চ। তাতে মিয়ানমারের দাবী করা ‘সমদূরত্ব’ পদ্ধতি না মেনে ‘ন্যয্যতা’র ভিত্তিতেই সমুদ্রের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক এলাকা বরাদ্দ হয় বাংলাদেশের জন্য।

এই রায়ে দারুণ আনন্দিত দেশের কূটনীতিক আর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে দেখছেন অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন খাত হিসেবে। তাদের মতে, সমুদ্রে নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরুর পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করাও জরুরী।
আশফাক আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এখন সমুদ্রে আমাদের অংশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আশফাক আহমেদ মনে করেন, বে অফ বেঙ্গল বিষয়ক একটি কমিশন গঠন করা উচিত বাংলাদেশের। যার মাধ্যমে সমুদ্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ সব ধরনের কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হবে।
ভারতের সঙ্গে করা সালিশি আদালতেও এই রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে আশফাক আহমেদ এবং বদরুল ইমাম, ভূতত্ববিদ মনে করেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত মামলাও ঠিক একই ধাঁচের। ফলে যেহেতু মিয়ানমারের সঙ্গে বিষয়টির সমাধান দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত ফলে একই ধারাবাহিকতায় ভারতের সঙ্গে রায়ও বাংলাদেশের পক্ষেই যাবে।

অন্যদিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে যোগ দিয়ে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এই রায় দুই দেশকেই জয়ী করেছে। তার মতে, মিয়ানমার বিষয়টি মেনেই নিয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কোন ক্ষতি হবে না বলেই মনে করেন এই রাষ্ট্রদূত।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন