পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি বলেছেন,
সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে
ফিরে আসার সুযোগ নেই; তবে ভারত চাইলে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিশ্চিত হতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও আইএসআইএর কাছ থেকে বিএনপির
চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার টাকা নেওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের আদালতের কাছে
অনুলিপি চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে তিনি।’
মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্রসীমা মামলায় পাওয়া জয়
উপলক্ষেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলন। আর প্রত্যাশিতভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ভারতের বিপক্ষে
সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত একই রকম মামলা এবং সেই মামলা নিয়ে ভারতের আলোচনা-প্রস্তাবের
প্রসঙ্গটি।
মন্ত্রী জানান, শান্তিপূর্ণ
সমাধানের খাতিরে আলোচনা হতেই পারে। তবে যেহেতু মিয়ানমারের
সঙ্গে মামলায় বাংলাদেশের ন্যয্যতা’ নিশ্চিত হয়েছে তাই ভারতের বিপক্ষেও নিজেদের দাবী নিশ্চিত করাই হবে বাংলাদেশের
মূল টার্গেট।‘
বন্ধু দেশের সঙ্গে তো আলোচনা হতেই পারে। তবে বাংলাদেশ যেহেতু মিয়ানমারের সঙ্গে মামলায় জিতেছে এবং তাতে যেহেতু ন্যয্যতার প্রিন্সিপাল নির্ধারিত হয়েছে ফলে আমরা তো
আমাদের ন্যয্য হিস্যা নিশ্চিত করবই। ‘’
ভারতের বিপক্ষে করা সমুদ্রসীমা বিরোধ ইস্যু ও
এক্ষেত্রে ভারতের আলোচনা প্রস্তাব নিয়ে তিনি আরও বলেন, সালিশি আদালত থেকে নিজেদের
মামলা তুলে নেওয়ার তো কোন সুযোগ নেই। বরং মামলা চলা অবস্থায়ই
আলোচনার পথ খোলা আছে, একথা আমরা আগেও বলেছি। তবে আমরা আমাদের নিজেদের হিস্যা নিশ্চিত হলেই কেবল অন্য চিন্তা করবো।
প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী জানান, বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ চাইলেই নিজেদের অংশে তেল-গ্যাসের ব্লক
পুননির্ধারণ করতে পারে।
ডাক্তার দীপু মনির জানান, এরই মধ্যে বাংলাদেশের নৌবাহিনীকে ফ্রিগেড, হেলিকপ্টারসহ নিজেদের সমুদ্রসীমা নিরাপত্তার সরাঞ্জাম দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী দলীয় নেতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা
সংস্থার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, জনগণের স্বার্থেই বিষয়টি জানতে চাইবে বাংলাদেশ।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে আইএসআই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অর্থ দিয়েছিল- গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপুর মনি অনুলিপি চাওয়ার কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বিষয়টা পরিষ্কার হওয়া দরকার। কিন্তু খালিজ টাইমসে যা প্রকাশিত হয়েছে, কেবল সেটুকুই আমরা জানি।”
আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অবৈধ পন্থায় অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল আসগর খানের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট স¤প্রতি বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চে গত বুধবার সাক্ষ্য দেন আসাদ দুররানি।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বৃহস্পতিবার তাদের ভারত সংস্করণে জানায়, দুররানি ১৯৯১ সালে বিএনপিকে অর্থ দেওয়ার কথা শুনানিতে স্বীকার করেছেন। এর আগে একই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যের দৈনিক খালিজ টাইমস।
এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে।
প্রধানত দিল্লিভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমেই এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দীপু মনি বলেন, আমি শুধু খালিজ টাইমসের লেখাটাই দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত ১০ মার্চ বিরোধী দলের সমালোচনা করতে গিয়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন। এরপর ১২ মার্চ নয়া পল্টনের জনসভায় ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, তাদের বিদেশি টাকার প্রয়োজন নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তারা ইতোমধ্যে আসাদ দুররানির বক্তব্যের অনুলিপি সংগ্রহ করেছেন। এতে বিএনপিকে অর্থ দেওয়ার কোনো কথাই দুররানি বলেননি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বিষয়টা পরিষ্কার হওয়া দরকার। কিন্তু খালিজ টাইমসে যা প্রকাশিত হয়েছে, কেবল সেটুকুই আমরা জানি।”
আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অবৈধ পন্থায় অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল আসগর খানের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট স¤প্রতি বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চে গত বুধবার সাক্ষ্য দেন আসাদ দুররানি।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বৃহস্পতিবার তাদের ভারত সংস্করণে জানায়, দুররানি ১৯৯১ সালে বিএনপিকে অর্থ দেওয়ার কথা শুনানিতে স্বীকার করেছেন। এর আগে একই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যের দৈনিক খালিজ টাইমস।
এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে।
প্রধানত দিল্লিভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমেই এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দীপু মনি বলেন, আমি শুধু খালিজ টাইমসের লেখাটাই দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত ১০ মার্চ বিরোধী দলের সমালোচনা করতে গিয়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন। এরপর ১২ মার্চ নয়া পল্টনের জনসভায় ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, তাদের বিদেশি টাকার প্রয়োজন নেই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তারা ইতোমধ্যে আসাদ দুররানির বক্তব্যের অনুলিপি সংগ্রহ করেছেন। এতে বিএনপিকে অর্থ দেওয়ার কোনো কথাই দুররানি বলেননি।
এ প্রসঙ্গে ডাক্তার দীপু মনি বলেন, আমরা পাকিস্তানের কাছে ট্রান্সক্রিপ্টটা চাইবো। কারণ আমাদের জনগণের কাছে বিষয়টি জানাতে হবে।
ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায়
আগামী ২১ মার্চ সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার
দীপু মনি।
পান্থ রহমান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন