পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২

সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রথম আলোর গোলটেবিল


সমুদ্রসীমা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে কোন আলোচনা নয় বরং আদালতেই ফয়সালা করার দাবী জানিয়েছেন এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমুদ্রসীমা বিষয়ে পড়ানোর মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ তৈরির পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা
মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্রসীমা মামলায় পাওয়া জয়কে উপলক্ষ করেই প্রথম আলোর এই গোলটেবিল বৈঠক। শিরনাম: সমুদ্রসীমা জয়: সম্ভবনা ও করণীয়। আলোচকদের সকলেই সমুদ্রসীমা ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ। বৈঠক শুরু করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশের পক্ষে সমুদ্রসীমার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশিদ আলম। কিভাবে জয় এলো সেই বিষয়টি পরিস্কার করেন তিনি। আহ্বান জানান, রাষ্ট্রের এই জয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি না করার।
রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব:) খুরশিদ আলম বলেন, এই জয় নিয়ে অযথাই কোন প্রশ্ন তুলবেন না বরং কোন ভুল ধরতে হলে দয়রা করে যুক্তি দিয়ে করুন। তিনি ্আরও বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত না হলে এটা সহজ হতো না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল প্রাপ্তিতে সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান আলোচকরা। তবে গ্যাসব্লক আর মহীসোপানে বাংলাদেশের হিস্যা নিয়ে ওঠে নানান প্রশ্ন।
অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, এই বিষয় পড়ানো উচিত। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনিস্টিটিউটগুলোতে এটাকে বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। নইলে আমাদের এক্সপার্টিজ তৈরি হবে না। যেটা এই মুহুর্তে খুব জরুরী।
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান শাহ আলমের মতে, আমরা তো হারি নাই কিন্তু কারো কারো বক্তৃতা দেখে মনে হয়েছে বাংলাদেশ হেরেই গেছে। ইকুইটি নাকি ইকুইডিসটেন্স এটাই ছিলো বড় বিষয়, সেই দিক দিয়ে আমরা সফল হয়েছি। আমি তো কোন ব্যর্থতা দেখিনা।
ভূতত্ববিদ বদরুল ইমামের মতে, এই আইনটা আমাদের কাছে পরিস্কার ছিলো না। আপনাদেরকে বলতে হবে। আইন মানুষকে জানাতে হবে।
এম এইচ খানের মতে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া এজাতীয় টার্গেট ফিল করা যায় না।
নানা বিষয়ে বিতর্ক উঠলেও সমুদ্রসীমা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা না করার ক্ষেত্রে একমত ছিলেন সবাই।
আনু মোহম্মাদ তার মত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কোন কারণ নেই। তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অভিজ্ঞতা আমাদের ভালো নয়।
তিনি আরো বলেন, এখন প্রয়োজন জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। সেটা ভূমিতেই হোক কিংবা সাগরে। আমাদের সম্পদ যেন মানুষের কল্যানে ব্যবহার করা যায় সেটাই জরুরী।
জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার ওপরও তাগিদ দেন আনু মোহাম্মদ।
সাবেক নৌপ্রধান এমএইচ খান বলেন, স্বার্থের ক্ষেত্রে কেউ কারো বন্ধু নয় বরং আমাদের হাতে ডেটা আছে আমরা ফাইট করবো।
নোয়ামীর চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমদ তার বক্তৃতায় বলেন, আমাদের কোন কারণেই ডিফেন্সিভ হওয়ার দরকার নেই। আমাদের সার্ভে ভ্যাসেল ছিলো না। তারপরও আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। আমাদের এখন নিয়মিত ভিত্তিতে ভ্যাসেল লাগবে। আমাদের নিজস্ব বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে হবে।
সমুদ্রসীমার মতো অন্য জাতীয় ইস্যুতেও সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান আলোচকরা।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন