নয়া দিল্লি, মার্চ ১৯
সীমান্তে রাতে চলাচল এড়াতে কারফিউ জারি করতে
ভারতের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ।
এর পরিবর্তে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের অপরাধের
বিষয়ে সচেতন করে তোলার ওপর জোর দিচ্ছে ঢাকা।
সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি হত্যার জন্য
সমালোচনার মধ্যে থাকা ভারত এই ধরনের ঘটনা এড়াতে রাতে সীমান্ত এলাকায় কারফিউ জারির
জোর সুপারিশ জানিয়ে আসছে।
এই বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির প্রধান
মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কারফিউতে বিশ্বাস করি না। আমরা মনে করি, সীমান্তে বসবাসকারীদের স্ব স্ব দেশের ভূমিতে অবাধ চলাফেরার অধিকার রয়েছে।
আর কারফিউ একটি সাময়িক ব্যবস্থা, এর মধ্য দিয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধান আসবে না, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন শেষে সোমবার যৌথ
সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী প্রধান। এসময় তার পাশেই ছিলেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী- বিএসএফের প্রধান ইউ কে
বানসাল।
সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনের বিষয়ে মেজর জেনারেল
আনোয়ার বলেন, সীমান্তে হত্যার বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত
স্পষ্ট। আমরা মনে করি, সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ হত্যা কোনোভাবেই
গ্রহণযোগ্য নয়।
সীমান্ত সম্মেলনে দুই দেশের সীমান্তের ২৩টি স্থান
ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এই সব স্থানে অপরাধ দমনে যৌথ টহল জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু এড়াতেও দুই পক্ষ একমত হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করার দায়িত্বটি আমাদেরই নিতে হবে, বলেন বিজিবি প্রধান।
বিএসএফ প্রধান বানসাল বলেন, সীমান্তবাসীকে সচেতন করে তুলতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষ একে অপরকে সহযোগিতা করবে।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কমাতে বিএসএফ সদস্যদের
প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন