পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ি নির্বাচন করুণ ॥ মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ খুঁজে বের করতে ছোট-বড় সব দলকে পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী উইন্ডি শেরমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনির সঙ্গে  বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের রাস্তা রাজনীতিকদেরই খুঁজে বের করতে হবে। এছাড়া সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন এই আন্ডার সেক্রেটারী।
সকালে গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসকে না রাখার সরকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য না করলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেরমেন কথা বলেছেন বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে। বলেছেন, জনগণের স্বার্থে হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ নির্বাচন এবং এর জন্য ছোট-বড় সব দলকে পথ খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন সফররত মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদমর্মাদার এই নারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এদেশের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি পথ সব রাজনৈতিক দল মিলেই খুঁজতে হবে
বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে দুই দেশের সম্পর্ক এবং সহযোগিতার নানা দিক। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেরমেন বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের খাতিরেই সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ খুঁজে বের করা উচিত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী উইন্ডি শেরমেন বলেন, আমার পরামর্শ হলো, নেতাদেরই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সঠিক  পথটা খুঁজে বের করতে হবে। আর এক্ষেত্রে তারা সকলে একত্রে বসতে পারে এবং নির্বাচনের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে পারে। নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে সব উদাহরণ রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সেখান থেকে বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য পদ্ধতিটি তারা গ্রহণ করতে পারে। তারা কে কোন দলের সেটা বিবেচনা না করে বরং জনগণ কী চায় সেটাই নেতাদের বিবেচনা করা উচিত।
বাংলাদেশের নতুন করে কোন মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই বলেও জানান এই আন্ডার সেক্রেটারী। উইন্ডি শেরমেন বলেন, তবে যারা এই মুহুর্তে আছে তারা এদেশে দূর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা দেবে।
তিনি জানান, নিরাপত্তা ইস্যু নিয়েও কথা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে।
আন্ডার সেক্রেটারী বলেন, তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারীসহ একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল ঢাকা আসছে। সন্ত্রাস মোকাবেলায় দৃঢ় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
শেরমেন জানান, সুশাসন, দূর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সন্ধ্যায় শেরমেন দেখা করেন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও। সেখানেও তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচনের জন্য সঠিক ও উপযুক্ত পদ্ধতি বের করে আনার আহ্বানও জানান তিনি।
ওয়েন্ডি শেরম্যান দক্ষিণ এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ঢাকা আসেনতিনি ভারত ও নেপাল সফর করে এখানে আসেন
পান্থ রহমান, ঢাকা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন