পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১২

স্মৃতি একাত্তরে টালী ও সাইমন

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে চার দশক কোন বেশি সময় নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কাভার করা সাংবাদিক মার্ক টালী ও সাইমন ড্রিং। তারা জানান, প্রমান হিসেবে তাদের প্রতিবেদনগুলোও কাজে আসতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এই দুই সাংবাদিক জানান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এখনও তাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাড়ানো বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা জানানোর ক’দিন বাদেই আবারও ঢাকায় সেই সময়ে যুদ্ধ কাভার করতে আসা দুই বিদেশি সাংবাদিক মার্ক টালী আর সাইমন ড্রিং। একাত্তরে বাংলাদেশকে সহযোগিতার জন্য আবারও তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক আয়োজন ‘স্মৃতি একাত্তর’-এ যোগ দেন এই দুই সাংবাদিক। জানান, তাদের স্মৃতিতে একাত্তর এখনও উজ্জল।
বিশেষ করে যুদ্ধকালিন সময়ে ভারত ও বাংলাদেশে থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কাভার করা বিবিসি’র সাংবাদিক মার্ক টালী বলেন, তিনি বিশ্ববাসীকে দেখাতে পেরেছিলেন কিভাবে ঘটনাগুলো ঘটছে। সেই সময়ে ব্রিটিশ গার্ডিয়ান পত্রিকার হয়ে যুদ্ধ কাভার করতে আসা সাইমন ড্রিং বলেন, আমি স্মৃতি কাতর হয়ে পড়েছিলাম। আমি পাকিস্তানী সেনাদের দেখেছি বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে ফেলতে, পুড়িয়ে ফেলতে আর ঠিক নয় মাস যুদ্ধের পর একই ঘটনা ঘটতে দেখেছি। তবে সেবার পতাকাটি বদলে গিয়েছিলো। এবারে মুক্তিকামী বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানের পতাকা নামিয়েছে বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে। সেগুলো পুড়িয়ে ফেলেছে ক্ষোভে।
২৫ মার্চের কালো রাতের ঘটনা সবার আগে তিনিই প্রথম বিশ্ববাসীকে জানিয়েছিলেন। তাই সাইমন ড্রিংয়ের কথায় উঠে আসে সেই ভয়াল রাতের বর্ণনাও। তিনি বলেন, ওই রাতে পাকিস্তানীরা ছিলো বর্বরোচিত।
আলোচনায় ওঠা প্রশ্নের জবাবে এই দুই সাংবাদিকের প্রায় একই মত, মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার চলতেই পারে। মার্ক টালী বলেন, সময় যাই হোক প্রমান থাকলে বিচার চালিয়ে যেতে সমস্যা তো নেই। সাংবাদিক সাইমন ড্রিং বলেন, আমি জানিনা আমি এ কাজে কতটা সহযোগিতা করতে পারবো। তবে আমি এবং ওই সময়ে আমার অন্য সহকর্মীরা যে সব প্রতিবেদন তৈরি করেছি এবং প্রকাশ করেছি সেগুলো হয়তো কোন কাজে আসতে পারে।
স্মৃতিচারণের পাশাপাশি ছিলো কবিতা-গানের বিশেষ আয়োজন।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন