পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২

বাংলাদেশ সুনামি প্রবন নয়!

অবস্থানগত কারণেই বাংলাদেশ সুনামি প্রবণ নয়, তবে ভূমিকম্পের দিক দিয়ে বাংলাদেশ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক মাকসুদ কামাল জানিয়েছেন, মধুপুর ফাঁটলে সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পেই মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে ঢাকা শহরের দেড় লাখ ভবন। তার শঙ্কা ভূমিকম্প পরবর্তী দ্রুত উদ্ধার কাজে নামার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বাংলাদেশের নেই।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, ভূমিকম্পের পুর্বাভাস হয় না। সুনামি হয় ভূমিকম্পের পর খুব কম অল্প সময়ের মধ্যে। সর্বশেষ বুধবারের ভূমিকম্পের পর সুনামির শঙ্কায় রাতভর নির্ঘূম কেটেছে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের মানুষের। সুনামি আঘাত হানতে পারে এমন শঙ্কা ছিলো বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহীসোপানের ভিন্নতার কারণেই বঙ্গোপসাগরে সুনামির শঙ্কা কম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক মাকসুদ কামাল জানান, বাংলাদেশের মহিসোপান অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে ওই পরিমান মহিসোপানকে অতিক্রম করে সুনামির আঘাত হানা কঠিন। তার আগেই সুনামি দূর্বল হয়ে পরে।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বাংলাদেশ বরং ভূমিকম্পপ্রবণ। যেখানে ত্রিশ সেকেন্ডের কম্পনে ঘটে যেতে পারে মহাদূর্যোগ। সার্বিক দুর্যোগ-ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাড়ে ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পনে ঢাকা, চট্টগ্রাম আর সিলেটে ঘটবে রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মধুপুর প্লেট বা ফাটলে মাত্র সাড়ে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৭২ হাজার বহুতল ভবন মুহুর্তে ভেঙে পরবে। শুধু তাই নয় আরও প্রায় ৮৫ হাজার ভবন এমন ভাবে ভাঙবে যে সেগুলো আর ব্যবহারের উপযুক্ত থাকবে না। কামাল বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় প্লেট বা ফাটলে যদি কোন কারণে একই মাত্রার ভূকম্পন হয় তাহলে চট্টগ্রামের পৌনে দুই লাখ ভবনের মধ্যে সোয়া লাখ বহুতল ভবন অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে। ভূকম্পনের কেন্দ্র বা উৎপত্তিস্থল যদি সিলেটে হয় তবে বহুতল ভবন ভেঙে পরার সংখ্যা প্রায় হাজার পঁচিশের কাছাকাছি দাড়াবে।
ভূতত্ত্ববিদরা জানান, পুরাতন ভনগুলো তো বটেই ঢাকা শহরের নতুন বহুতল ভবনগুলোর বেশিরভাগই ‘বিল্ডিং কোড’ মেনে তৈরি হয়নি। আর সে কারণে ছয় মাত্রার ভূমিকম্পও হতে পারে বড় ক্ষতির কারণ।
পান্থ রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন