পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

মানিকগঞ্জে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী

শিগগিরই গ্রামীণ ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ নতুন পরিচালনা পর্ষদ দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সফররত মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী উইন্ডি শেরমেন মানিকগঞ্জের একটি গ্রামে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহিতাদের সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক ভালোমতোই চলছে এবং এটাই তাদের চাওয়া।
চৈতালি তাপদহের মাঝে হঠাৎই ঝুম বৃষ্টি। শুক্রবারের সকালটা তাই অন্যরকম। এরই মাঝে মানিকগঞ্জের কাটিগ্রামে পৌঁছালেন বাংলাদেশ সফরে আসা মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী উইন্ডি শেরমেন। গ্রামে ঢুকেই পেলেন স্কুল পড়–য়াদের স্বাগতবার্তা। পেলেন ফুলেল শুভেচ্ছাও।
গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহিতাদের হালচাল জানতেই তার এই গ্রামে আসা। শুনলেন, গ্রামীণ ব্যাংক কিভাবে তাদের জীবন বদলে দিয়েছে। নিজেও শোনালেন তার দেশের গল্প।
এক সময়ের হতদরিদ্র এই মানুষগুলোর স্বচ্ছল হয়ে ওঠার গল্প মুগ্ধ করে উইন্ডি শেরমেনকে। বদলে যাওয়া জীবনের আনন্দানুভূতির সঙ্গে মিশে যান তিনি। ঢেঁকিতে ধান ভানা কিংবা ঋণ গ্রহিতার বাড়ির পিঠা খেয়ে একাত্ম হন তাদের আনন্দের সঙ্গে।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উইন্ডি শেরমেন জানান, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের গড়া এই গ্রামীণ ব্যাংক মানুষের জীবন পাল্টে দিয়েছে।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী উইন্ডি শেরমেন বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক এখন পুরোদমে কাজ করছে এবং সাধারণ মানুষকে তাদের সহযোগিতা করা অব্যাহত রেখেছে এবং এটাই সবচে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি  আরও বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক নামের যে প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেছিলো তার একটি আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুনামও আছে আন্তর্জাতিক মহলে এবং সে কারণেই আমরা বিষয়টিকে অন্তত গুরুত্ব দিচ্ছি।
গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসকে না রাখার সরকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে তার মত জানতে চাওয়া হলে শেরমেন এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি। তবে বলেছেন, গ্রামীণ ঠিক পথে এগুবে, এটাই তারা দেখতে চান।
উইন্ডি শেরমেন বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে এবং যত দ্রুত সম্ভব গ্রামীণ ব্যাংকের নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে; এটাই আন্তর্জাতিক মহলের চাওয়া।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী জানান, আজ আমরা দেখতে এসেছি গ্রামীণ ব্যাংক আসলে মানুষের জন্য কতটা কী করছে। শিশুদের স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা নারী-পুরুষের কর্মক্ষেত্র তৈরির মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যত গড়তে অথবা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে তারা কতটা সহযোগিতা করছে, সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বের।
পরে ঋণগ্রহিতা পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারী।
পান্থ রহমান, মানিকগঞ্জ থেকে ফিরে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন