পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।।খালেদা জিয়া


ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২০
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আপিল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, এই রায়ের ভিত্তিতে আয়োজিত কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন না

বৃহস্পতিবার গুলশানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, “আমরা ঘোষণা করছি, সাবেক প্রধান বিচারপতির ওই রায় নৈতিকতা বিরোধী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতজনগণ কখনোই তা গ্রহন করবে না

গত বছরের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আপিল বিভাগের দেয়া ৩৪২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়

ওই রায়কে ভিত্তি ধরেই গত বছরের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনে মহাজোট সরকার, যাতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়

এ বিষয়ে দলের অবস্থান জানাতেই বিকালে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিরোধী দলীয় নেতা

ওই রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের স্বাক্ষর করার বৈধ্যতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া বলেন, “নিদর্লীয় সরকারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবেঅবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়ের কারণে চলমান আন্দোলনকে কেউ দুর্বল করতে পারবে না

একইসঙ্গে তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করেন- নির্দলীয় সরকার ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে নাজনগণ তা প্রতিহত করবে

নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য সরকারকে সংসদে বিল তোলার আহবান জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, “সরকার যদি সংবিধান সংশোধনের বিল পাস না করে, তাহলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে

অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সহসভাপতি টি এইচ খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, সাংসদ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিরোধী দলীয় নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন