১০ আগষ্ট, ঢাকা:
নিজেরা নিজেদের দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ ও
খাদ্য নিরাপদ হিসেবে উল্লেখ করলেও হতাশ করেছে ইকোনোমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট
প্রকাশিত নতুন বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে খাদ্য
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার সবচে খারাপ অবস্থা বাংলাদেশের। ছয় দেশের মধ্যে
সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
বিশ্বের ১০৫টি দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং মান ও নিরাপত্তা- এ তিনটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে করা
প্রতিবেদনে ব্রিটেনের সাময়িকী ইকোনমিস্টের গবেষণা শাখা জানিয়েছে; ১০০ ’র মধ্যে ৩৪ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের
অবস্থান ৮১তম!
বাংলাদেশের আগে আছে শ্রীলংকা। দক্ষিণ এশিয়ার
দেশগুলোর মধ্যে সবচে এগিয়ে শ্রীলংকা।
৪৭ দশমিক ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তারা ৬২তে। এছাড়া ভারত ৬৬ (স্কোর
৪০.৫), পাকিস্তান ৭৫ (স্কোর ৩৮.৫), মিয়ানমার ৭৮ (স্কোর ৩৭.২) এবং নেপাল আছে ৭৯তম (স্কোর ৩৫.২) স্থানে।
তবে যথারীতি খ্যাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে এগিয়ে
আছে ধনী দেশগুলো। তালিকার প্রথম স্থানে যুক্তরাষ্ট্র (স্কোর ৮৯.৫) বাকি দুটো স্থানে আছে
ডেনমার্ক (স্কোর ৮৮.১) ও ফ্রান্স (স্কোর ৮৬.৮)।
তবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের তিনটি শক্তির জায়গা উঠে এসেছে প্রতিবেদেন। এগুলো হলো পুষ্টিমান,
কৃষি উৎপাদনের নিশ্চয়তা ও কৃষকদের ঋণ প্রাপ্তির সুবিধা।
তবে কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে সরকারের বরাদ্দের
স্বল্পতা, খাবারে বৈচিত্রের অভাব, মাথাপিছু গড় বার্ষিক উৎপাদন কম হওয়া, আমিষ জাতীয় খাদ্যের স্বল্পতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরবরাহের অপ্রতুলতা বাংলাদেশের বড় দূর্বলতা।
তালিকার সবচে নিয়ে আছে আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের
দেশগুলোর।
শেষ তিনটি স্থানে আছে বুরুন্ডি, শাদ ও কঙ্গো।
পান্থ রহমান, ঢাকা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন