১০ আগষ্ট, ঢাকা:
নিজেকে আহ্বায়ক হিসেবে ঘোষণা দিয়ে হুদা শুক্রবার
বিকালে ঢাকার গুলিস্তানের একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিক দলযাত্রার ঘোষণা দিয়ে ‘জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের’ রূপরেখা ঘোষণা করেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে; কিছুদিন আগে অর্থাৎ গত ৬ জুন অভিমান করে তার সর্বশেষ দল বিএনপি ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা; যিনি ‘ব্যানাহুদা’ নামেই রাজনীতিতে অধিক পরিচিত। বিএনপি সরকার আমলে
যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা হুদা তার পদত্যাগপত্র বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়ার কাছে পাঠিয়ে দেন।
হুদা বলেন; “নতুন রাজনৈতিক দল হবে সংসদের আসনভিত্তিক। তাদের কোন কমিটি জেলা-থানা-কিংবা
ইউনিয়ন-এ থাকবে না। দলকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে।
যেখানে নতুন নেতৃত্ব থাকবে সব সময়।”
হুদা জানান; জিয়াউর রহমান-এর মতো করেই নতুন দল গঠন করতে চান তিনি। ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে
বলেন; ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে
জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিলো; জিয়াউর রহমানের
নেতৃত্বে। সেই জোট থেকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।” যদিও এরপর বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি নামে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে তোলেন জিয়াউর
রহমান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন এই সদস্য বলেন, “ যেহেতু দল হিসেবে বিএনপি সংগঠিত তাই সেই সময়ের ‘জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’ এতদিন সুপ্ত অবস্থায় ছিলো। এবারে সেই ফ্রন্টকে
নতুন রাজনৈতিক দল হিসাবে ঘোষণা করছি।”
হুদা বলেন, “গতানুগতিক রাজনৈতিক দলের মতো হবে না আমার দল। জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট-এর
সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক হবেন ২১ সদস্যের একটি স্টিয়ারিং কমিটি। আর কেন্দ্র চালাবে ১০১
সদস্যের কমিটি।”
“নতুন ফ্রন্ট নির্বাচনমুখী হবে। সংসদীয় আসনভিত্তিক
কমিটি হবে। অর্থাৎ, কমিটি তৈরি হবে
ভোটকেন্দ্রের ভিত্তিতে।”;
জানিয়েছেন ব্যানাহুদা।
দল গঠন করেই ব্যানাহুদা দাবী করেছেন; সামনের জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
নতুন দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হবে ৭ই নভেম্বর
হবে জানিয়ে হুদা বলেন; “আমাদের বিশ্বাস, নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে। বিকল্প কোনভাবে নয়। আমরা রাজনৈতিক
ধারণায় গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই।”
উল্লেখ করা যেতে পারে; নাজমুল হুদা নানান কারণে রাজনৈতিকভাবে আলোচিত এবং কখনও কখনও সমালোচিত। ১৯৯৬ সালে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার কারণে মন্ত্রিত্ব থেকে সরেও যেতে হয় তাকে। শৃঙ্খলাভঙ্গের
কারণে ২০১০ সালের ২৩ জুন তাকে বিএনপি বহিস্কারও করে। ভুল স্বীকার করে খালেদা
জিয়ার কাছে আবেদন করার পর ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দলের সদস্যপদ ফিরে পান
ব্যানাহুদা।
পান্থ রহমান, ঢাকা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন